Posts

Showing posts from June, 2023

নিজেকে বদলে কীভাবে হয়ে উঠবেন আত্মবিশ্বাসী?

Image
  জীবনে সাফল্য পেতে ব্যক্তিত্ব-ই আসল চাবিকাঠি। কীভাবে বদল আনবেন নিজের মধ্যে, হয়ে উঠবেন আত্মবিশ্বাসী?  পার্সনালিটি ডেভলপমেন্ট টিপস দিলেন বিউটি কুইন এবং  অরা ইন্ডি'র ডিরেক্টর রূপা পাল (Rupa Pal, Beauty Queen & Director Of Aura Indie) রাতারাতি সাফল্য আসে না জীবনে। রাতারাতি নিজের মধ্যেও বদল আনা যায় না। সাফল্য মানে নির্দিষ্ট কিছু টার্গেট পূরণ নয়, সফল হয়ে ওঠার ব্যাপ্তি আরও বড়। আর তা আসে ধাপে ধাপে, বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে। এমনটাই জানাচ্ছেন রূপা পাল। রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে তিনি। নিজের জীবনের অনুপ্রেরণা তাঁর ‘মেয়েবেলা’। ছোটবেলার জীবনের না-পাওয়া ইচ্ছেরা মনের মধ্যে অনুঘটকের কাজ করেছিল। নিজের জন্য নিজেকে কিছু করতে হবে-এই ভাবনার জন্ম হয় সেখান থেকেই। অ্যাকাডেমিক জীবনে ফিজিওলজির ছাত্রী। এক সময় আয়ুর্বেদ নিয়েও চর্চা করেন। মেকআপ দিয়ে তৈরি করা ভ্রান্ত সৌন্দর্যে কোনওদিন বিশ্বাস ছিল না তাঁর, ভিতরের সৌন্দর্য টানত অনেক বেশি। চেয়েছিলেন ভিড়ের মধ্যে অন্যরকম হয়ে ওঠার। জামাকাপড় থেকে থেকে করে স্টাইল সব কিছুতেই। সেই ভাবনা থেকেই তাঁর ডিজাইনার হয়ে ওঠা।   যে কোনও সময়, যে কোনও বয়সে নতুন করে শুরু করা যায়। ন

নিয়মিত যোগভ্যাসে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম প্রতিরোধ ও নিরাময় সম্ভব?

Image
  নিয়মিত যোগভ্যাসে কি PCOS পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম   (Polycystic ovary syndrome)   প্রতিরোধ ও নিরাময় সম্ভব? কী ধরনের যোগ ব্যায়াম PCOS-এর জন্য উপকারী?আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের (International Day of Yoga) বিশেষ পর্বে বিস্তারিত জানালেন  ফিজিওথেরাপিস্ট ও যোগ প্রশিক্ষক ডাঃ জি.ডি পান (Dr. G.D Pan, Physiotherapist & Yoga Trainer) PCOS পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম অনেকগুলো লক্ষণের সমষ্টি। যেটা প্রধান ব্যাপার সেটা হল সিস্টটা হচ্ছে ওভারিতে। একাধিক সিস্ট দেখা দিচ্ছে। কিন্তু এটা একদিনে হয় না। এই সমস্যা তৈরি হয় জীবনযাত্রার ভুল ভ্রান্তির ওপর। তখন শরীরে হরমোনের স্বাভাবিক ক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। তার অন্যতম কারণ PCOS পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। তবে সমস্যা সেই অর্থে কোনও ব্যাধি নয়, বলা যায় ভুল জীবনযাত্রার ক্ষতিকারক ফল। international yoga day , best yoga poses for pcos , yoga for pcos , pcos exercise at home আমাদের শরীরে অনেকগুলো সিস্টেম একসঙ্গে কাজ করে। সেই সিস্টেম চালাতে গেলে একাধিক বিষয়ের প্রয়োজন হয়। যা আসে জীবনযাত্রার মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ায় যখন বাধাপ্রাপ্ত হয়, শরীর ঠিকমতো যোগান পায় না তখন ভিতরের সিস

বিজ্ঞানের ছাত্র কিশোর রাজ বর্মনের গলায় সুর চিনেছিলেন প্রয়াত গায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য্য

Image
হিন্দিতেও ‘ বোলে চুড়িয়া’, ‘সনক’ ‘লাভ হ সেল’, ‘ চেহরা’, ‘দ্য আনটাচেবল’ এর মতো হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছেন।  বাংলাতেও তাঁর গাওয়া গানের লিস্ট বেশ আকর্ষণীয়। এখন তাঁর প্রতিদিন কাটে কলকাতা-মুম্বই ব্যস্ততায়।  অথচ গানের দুনিয়ায় আসার তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না! কথা হচ্ছে সঙ্গীত শিল্পী রাজ বর্মনকে নিয়ে। তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন প্রয়াত গায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য। সেই গল্পও তাঁর গানের লিস্টের মতোই ইন্টারেস্টিং! কলকাতায় জন্ম। এই শহরেই বেড়ে ওঠা। ছিলেন বিজ্ঞান আর বাণিজ্যের ছাত্র। কোনদিন প্ল্যান ছিল না গানের জগতে আসার। আর পাঁচজনের মতোই স্কুলে যাওয়া, পড়াশোনা খেলার মাঠ এই ছিল জীবন। ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসতেন। পড়াশোনা চলত। ক্লাস টেন অবধি বিজ্ঞানের ছাত্র। তারপর কমার্স। বাড়িটা ছিল রঙতুলির দুনিয়া। বাবা-মা দুজনেই চিত্রকর। সেই নিয়ে মেতে থাকত পরিবার। তার মধ্যেও রাজকে টানত সুর। গান গাইতেন। একবার সেই গান রেকর্ড করে তাঁর মা শোনায় শিক্ষক বিশিষ্ট গায়ক পিন্টু ভট্টাচার্যকে। গান শুনে উনি পরামর্শ দেন  সিরিয়াস গান চর্চার ব্যাপারে। বারো বছর বয়সে গান গাওয়ার শুরু। সেই শুরু। নবম শ্রেণীর ছাত্র রাজের সেই প্রথম গান দুনিয়ায় পা র

কিভাবে হোয়াটস্যাপ গ্রাহকেরা অচেনা নম্বর থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন?

Image
বার বার অচেনা নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন আসছে অথচ ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে নাম সেভ নেই ? দৈনন্দিন কাজের মধ্যে বিরক্তিকর হয়ে উঠছে এমন ঘটনা। এই বিরক্তি দূর করতে হোয়াটস্যাপ সংস্থা এন্ড্রোইড এবং আইফোন গ্রাহকদের জন্যে এক বৈশিষ্ট্য চালু করার সিদ্ধান্ত নিলো। খুব শীঘ্রই অচেনা নম্বর থেকে আসা কল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন গ্রাহকেরা। মেটা সংস্থার সিইও মার্ক জুকারবার্গ মঙ্গলবার বিস্তারিত জানিয়েছেন যে নম্বর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকের ‘কন্ট্যাক্ট লিস্ট’-এ সেভ করা নেই, সেই নম্বর থেকে বার বার ফোন এলেও গ্রাহকেরা আর বিরক্ত হবেন না। তিনি জানান যে কোনো অচেনা, সেভ না করা নম্বর থেকে ফোন এলে তা হোয়াটস্যাপ নোটিফিকেশন-এ দেখালেও আলাদা ভাবে রিং হবে না। অর্থাৎ হাতে ফোন না থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকেরা বুঝতেই পারবেন না যে তাকে অচেনা নম্বর থেকে কেউ ফোন করেছেন।নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপের সেটিং পরিবর্তন করে যে কোনও গ্রাহক এই সুবিধা পেতে পারবেন। সেটিংস থেকে প্রাইভেসি অপশনে যাওয়ার পর যদি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকেরা কল অপশনে যান তা হলে সেখানে ‘সাইলেন্স আননোন কলার্স’ নামের একটি অপশন দেখাবে এবং এই অপশনটি বেছে নিলেই দূর হবে সমস্যা। এর পর আর অচেনা

ডায়াবেটিসে ডায়েটের পাশাপাশি এক্সারসাইজে কতটা নজর দেওয়া উচিত?

Image
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ ডায়েট চার্ট কেমন হওয়া উচিত? ডায়াবেটিসে ডায়েটের পাশাপাশি এক্সারসাইজে কতটা নজর দেওয়া উচিত? টিপস দিলেন ডায়েটিশিয়ান প্রাপ্তি রুইয়া (Prapti Ruia, Dietitian) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তন আসে। সেইসব পরিবর্তন নিয়ে মিথও কম নেই। ডায়েটিশিয়ান প্রাপ্তি রুইয়া জানিয়েছেন, ডায়েট চার্টের প্রধান বিষয়টাই হল ব্লাড টেস্ট। ডায়াবেটিক বা নন-ডায়াবেটিক কিনা। ডায়েট চার্টের প্রধান বিষয় রেগুলার মিল প্যাটার্ন। ঠিক সময়ে পরিমিত খাবার খাওয়া এবং সঠিক খাবার খাওয়া-এটাই একজন ডায়াবেটিস রোগীর আসল ব্যাপার। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। ৯-১০ বছরের শিশুদেরও হতে পারে। যাকে জুভিনাইল ডায়াবেটিস বলা হয়। ডায়াবেটিস রো গীর ডায়েট চার্ট নিয়ে অনেকরকম মিথ প্রচলিত আছে। কোনও একটি খাবার সকলের ক্ষেত্রেই চলতে পারে বা কারও ক্ষেত্রেই চলতে পারে না-এমন হয় না। যেমন আলু। কোনও কোনও রোগীর আলু খেলে সমস্যা হয়, কারও সেটা হয় না। মধুমেহ হলেও আলু খাওয়া যেতেই পারে, কিন্তু আলুর সঙ্গে অন্য সবজি ব্যালেন্স করে নিতে হবে। HBANC যদি অনেক বেশি হয় তাহলে মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের সরকারি দপ্তরে ভয়াবহ আগুন

Image
  বৃহস্পতিবার সকালে কর্মব্যস্ত কলকাতা শহরে ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউইয়ের বহুতলে আগুন লাগে সকালে। সরকারি বিল্ডিংয়ের পাঁচ তলায় আগুন একটি অফিসে সকাল ১০টার সময় আগুন লাগে বলে খবর স্থানীয়সূত্রে পাওয়া গাছে। অফিস টাইমে অফিস পাড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। Fire Break , Central Avenue , Ganesh Chandra Avenue , Government Office , Thursday News ঘটনাটি ঘটেছে ৪৫ নম্নর গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ৫ তলায়। সেখানেই রয়েছে জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দপ্তরের সরকারি অফিস। অফিসে কেউ তখনও না পৌঁছানোর ফলে ভেতরে কেউ আটকে থাকার আশঙ্কা নেই বলেই জানা গিয়েছে। আপাতত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও বহু সরকারি নথি পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রথমে ৬টি ইঞ্জিন আসে। একঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নিয়ন্ত্রনে আসেনি আগুন। জানা গিয়েছে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য আরও ৪টি ইঞ্জিন আনা হয়েছে সেখানে। বিল্ডিংয়ের ছয় তলায় আগুনের চাপে জানলার কাঁচ ফেটে গিয়েছে এবং সেখান দিয়ে গল্ গল করে ধোঁয়া বেরতে

পুরুলিয়ার বিরহড় উপজাতির বিয়ে-সাদির বিচিত্র রীতি ও বিয়ের গান

Image
  বিয়ের কয়েকদিন আগে থেকেই বিরহড় বসতিতে উৎসবের রঙ লেগে যায়।  বিয়ের দিন সকালে বর ও কনের বাড়ির উঠোনের একপাশে, মাটি সামান্য উঁচু করে চৌকো বেদির আকার দিয়ে, চাদ্দিকে তার চারটি শালের খুঁটি পুঁতে,  ডালপাতার ছাউনি দিয়ে, তৈরি হয় ছাদনা। ‘ছাদনা’কে এরা বলে ‘ছামড়া’। ছামড়াতলায় পুঁতে রাখা হয় আম আর মহুলের ডাল। মহুল ডালের চাদ্দিকে বিচুলির মোটা দড়ি দিয়ে বেড় দেওয়া হয়। পাশে রাখা হয় তিরধনুক, গাড়ু, কুঠার, আর মাটির ছোট ছোট দুটো কলসি। কুঠার আর কলসি দুটি, জল সইতে লাগে। লোকসংস্কৃতি , বিরহড় , উথলু বিরহড় , জাগি বিরহড় বরের বাড়িতে জল সইতে কলসি দুটি কাঁখে নেয় বরের দুই বোন। তাদের মাথায় দেওয়া হয় একখানা হলুদ কাপড়ের ঘোমটা,  আর এই কাপড়েরই দুদিকের দুই আঁচল দিয়ে ঢাকা হয় দুই কলসির মুখ। ‘জল সওয়া’–কে এরা বলে ‘দাঃ মামা’। এতে নেচে গেয়ে সঙ্গ দেয় বাড়ির সব এয়ো আর মেয়েরা। তবে, বরের মা থাকেন সবার আগে, তাঁর হাতে থাকে কুঠার। তিনি এই জলের পাত্র আর জল, সমস্ত অশুভ আত্মার দৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে পাহারা দেন। জল নেবার আগে, পুকুরে নেমে, ঘাটের দিকে মুখ ফিরিয়ে পিছনের জল কুঠার দিয়ে তিনবার কাটেন। এদের বহুদিনের বিশ্বাস, এতেই নাকি কেটে যায় জলের সব দ

সন্ন্যাস ত্যাগ করে কারা হতেন রাজার গুপ্তচর?

Image
  যে সময়ের কথা আলোচনা করা হচ্ছে সেই সময়ে বর্ণাশ্রম এবং চতুরাশ্রম এই দুই প্রথাই যথেষ্ট সুস্পষ্ট ভাবে সমাজে প্রচলিত ছিল। সেই সময়কার সমাজ ভেদাভেদের অংশ ছিল। উদাস্থিত-ব্যঞ্জন , চাণক্য , কৌটিল্য , Arthashastra , Kautilya , Kautilya’s Arthashastra চাণক্যের অর্থশাস্ত্রমতে সমাজের নানা ক্ষেত্রে কারা কোন ধরনের কাজ করবে সেখানেও ছিল সুস্পষ্ট নিয়ম। রাজার অধীনে সবকিছু থাকলেও কাজের ধরন নির্ধারিত হত সেই ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং তার ভাবনার উপর। চতুরাশ্রমের সবচেয়ে উচ্চ প্রথা অর্থাৎ সন্ন্যাস প্রথা সাধারণত গ্রহণ করতেন সমাজের উচ্চ স্তরের মানুষরা। কিন্তু অনেকেই পরিবারের চাপে বা কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করতে বাধ্য হতেন। পরবর্তীকালে এমনটা দেখা গেছে যে নানা কারণে তারা এই সন্ন্যাসের পথ থেকে সরে এসেছেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর নিয়ম-কানুন এবং তার নানা বিষয় অনুসরণ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু একবার সন্ন্যাস গ্রহণের পর তার নিয়ম-কানুন অনুসরণ না করলে ভয় ছিল সমাজচ্যুত হওয়ার। চাণক্যের অর্থশাস্ত্র অনুযায়ী, যাঁরা অতীতে সন্ন্যাস নামের চতুর্থ আশ্রম অবলম্বন করেও তা ধরে রাখতে পারেননি, ত